বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশ টেলিভিশনের ড্রামা স্টুডিওতে একসাথে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুটি নাটকের প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হলো।
বিটিভির মহাপরিচালক এস. এম. হারুন-অর-রশীদের ভাবনা ও পরিকল্পনায় নির্মিত হয়েছে মেগা সিরিয়াল ‘দ্যা জেনারেশন’ ও প্রমাণ্য কাহিনীচিত্র ‘যা ছিলো অন্ধকারে’।
বিচারপতি হামুদুর রহমান কমিশনের অপ্রকাশিত রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত কর্মকাণ্ডের ওপর বিশেষ প্রামাণ্য কাহিনীচিত্র ‘যা ছিলো অন্ধকারে’। ‘যা ছিলো অন্ধকারে’ নির্মাণ করেছেন আবদুল আউয়াল চৌধুরী।
এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, জিয়াউল হাসান কিসলু, আব্দুল বারী, শাহআলম দুলাল, খলিলুর রহমান কাদরী’সহ আরো অনেকে। এরইমধ্যে ‘যা ছিলো অন্ধকারে’র প্রচার শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন রাত ১১.০০মিনিটে বাংলাদেশ টেলিভিশনে এটি প্রচার হবে।
আগামী ২২ মার্চ থেকে মাসুম রেজা ও অয়ন চৌধুরী রচিত আলভী আহমেদ নির্দেশিত ‘দ্যা জেনারেশন’ ধারাবাহিক নাটকটি প্রচারে আসবে। প্রতি বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার সন্ধ্যা ৭.০০ মিনিটে নাটকটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার হবে। এটি প্রযোজনা করেছেন নূর আনোয়ার রনজু। দুটি নাটক ও কাহিনীচিত্রের প্রিমিয়ার শো’তে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিলো তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি।
প্রিমিয়ার শো’তে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিটিভির মহাপরিচালক এস. এম. হারুন-অর-রশীদ। দুটি নাটক ও কাহিনীচিত্রের প্রমোশনাল প্রদর্শন শেষে উপস্থিত শিল্পীদের সঙ্গে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। প্রিমিয়ার শো শেষে বরেণ্য নাট্যবক্তিত্ব ও নির্মাতা মামুনুর রশীদ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
‘দ্যা জেনারেশন’ নাটকের মূল বিষয় হলো ঢাকা শহরের কংক্রিটের প্রাচীর ধরে মানবিক সম্পর্কের এক কোলাহলে সময় পার করা প্রায় সমবয়সী ও সমমনা পাঁচ তরুণ তরুণীর জীবন ও জীবনের আশপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নানান ঘটনা। নাটকটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রহমত আলী, ইলোরা গহর, মৌটুসী বিশ্বাস, নাজনীন হাসান চুমকি, নোভা, সমাপ্তি মাসউক, সামিহা’সহ আরো অনেকে।